Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ইতিহাস

চলনবিল অধ্যূষিত ঐতিহাসিক জনপদ চাটমোহর উপজেলার ‘হান্ডিয়াল ইউনিয়ন’।  ‘হান্ডিয়াল ইউনিয়ন’ চলনবিলেরই একটি অংশ। এখানকার জনসাধারণের জীবন ও জীবিকা চলনবিল নির্ভর। এই ইউনিয়নের প্রধান ফসল ধান ও পাট। ইউনিয়নের ৮৫% মানুষ কৃষিজীবি। এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বসবাস আছে। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার সহাবস্থান বিদ্যমান। হান্ডিয়াল ইউনিয়নে সকল রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কার্যক্রম রয়েছে। তবে এই ইউনিয়নবাসী পরমতসহিষ্ণু মনোভাব সম্পন্ন হওয়ায় কোন প্রকার রাজনৈতিক সহিংসতা নেই। সকল দলের নেতা-কর্মীরা একই মঞ্চে সমবেত হতে কখনো কার্পন্য করেন না। এলাকার উন্নয়নে এবং জাতীয় প্রয়োজনে নেতা-কর্মীরা সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।

 

এক সময় এ এলাকাটি হিন্দু অধুষিত হিসেবে চিন্হিত ছিল। তৎকালিন বৃটিশ শসনামলে অত্র এলাকায় জমিদারী প্রথা বিরাজ ছিল। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলন বিল। চলন বিলের তলদেশে অবস্থিত আমাদের হান্ডিয়াল ইউনিয়ন। ইতিহাস খঁজলে দেখা যয় এক সময় এখাকনেবিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বাস করত।ব সেই সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রচুর হাড়ি ব্যবহার করত। সেই থেকে অত্র ইউনিয়কেনর নাম করন করা হয় হাড়িয়াল। হাড়িয়াল থেকে পর্যায়ক্রমে হ্যান্ডোয়াচ এবং বর্তমান নাম হান্ডিয়াল। তৎকালিন বৃটিশ শাসনামলে ১/৩ অঙশ নীল চাষ হত এখানে য়ার স্বাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে কুঠিবাড়ী নামে ক্ষ্যাত জগৎ শেঠকে দেওয়া লট ক্লাইভের বাংলো। ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত এখানে থানা সদর ছিল। তৎপূর্বে আর্কস্মিক এক ভুমিকম্পে নির্মাণ কাঠামো সম্পূন্ন ধসে পড়লে থানা সদর স্থানান্তর করা হয় চাটমোহর। হান্ডিয়ালে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয় পুরাতন জগন্নাথ মন্দির ো সপ্তদশ শতাব্দীতে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসা বুড়াপীর খ্যাত শাহ মোখলেছুর রহমান (রাঃ) এর মাজার শরীফ। দুটি স্থানেই দুর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ভক্তের আগমন চোখে পরার মত। সম্প্রতি হান্ডিয়ালের উত্তর পার্শ্ব দিয়ে তৈরী হয়েছে বনপাড়া-সিরাজগঞ্জের অত্যাধুনিক বিশ্ব রোড।

 

হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় হাট হচ্ছে ‘হান্ডিয়াল হাট’। স্থানীয় জনসাধারণ তাদের উৎপাদিত ফসল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এই হাটেই ক্রয়-বিক্রয় করেন। এখানকার শিক্ষিতের হার পূর্বে অনেক কম হলেও এখন ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি শিশুকে বিদ্যালয়মূখী করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে বিশেষ তৎপরতা ও কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পড়াশুনার মান বেশ ভাল। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখে। ইউনিয়নটি চাটমোহর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর অতিক্রম করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহরমূখী হয়ে পড়ে। এই ইউনিয়নবাসী নিজেদের কৃষ্টি ও কালচার ধরে রাখার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিরলস প্রচেষ্টায় অপসংস্কৃতিক কুপ্রভাব এখনো ইউনিয়নবাসীকে আক্রান্ত করতে পারেনি। নতুন নতুন শিল্প কারখান গড়ে তুলে এ এলাকাবাসীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে এ জনপদকে সমৃদ্ধ করা এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে।